পৃষ্ঠাসমূহ

Saturday, January 3, 2015

প্রযুক্তিতে আলোচিত ২০১৪


টেকনো ডেস্ক ॥২০১৪ সালে দেশের প্রযুক্তি অঙ্গনে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। সুযোগ হয়েছে হালনাগাদ প্রযুক্তিসেবা ব্যবহারের। এমনই সব বিষয় নিয়ে এই প্রতিবেদন
আকাশে উড়ল প্রথম 'ড্রোন'
বছরের শুরুতেই নিজেদের তৈরি বিশেষ প্রযুক্তির মানুষবিহীন উড়োজাহাজ 'ড্রোন' তৈরি করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্লাব সাস্ট রোবোঅ্যারোর একদল মেধাবী তরুণ। ২৮ জানুয়ারি শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে শত মানুষের সামনে এটি ওড়ানো হয়। এ সময় আকাশ থেকে নিয়ন্ত্রকদের কাছে সরাসরি ভিডিওচিত্র পাঠাতে থাকে ড্রোনটি।

বাংলা ওসিআর
ডিজিটাল বা স্ক্যান করা টেক্সটের ছবিকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য টেক্সটে রূপান্তর করার কার্যকর সফটওয়্যার অপটিক্যাল ক্যারেক্টর রিকগনিশন বা ওসিআর। ইংরেজিসহ কয়েকটি ভাষায় ভালো ওসিআর থাকলেও বাংলা সমর্থনযোগ্য ভালো কোনো ওসিআর ছিল না। ৭ আগস্ট উদ্বোধন হয় প্রথম বাংলা ওসিআর 'পুথি'। 'টিম ইঞ্জিন'-এর তৈরি ওসিআরটি সুতন্বীসহ ষাটের দশকে ব্যবহৃত ফন্ট স্ক্যান করেও সর্বনিম্ন ৯৪ শতাংশ সফল 'আউটপুট' দিতে পারে। এ ছাড়া এটি বাংলায় টাইপ করা বা লেখা একটি ইমেজকে স্ক্যান করলে ইমেজের কনট্যান্ট সরাসরি ইউনিকোডে রূপান্তর হয়। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নতুন-পুরনো বই, নথি ডিজিটাইজ করা সম্ভব। ফলে বই, নথি, কাগজের স্তূপ থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করে কোনো তথ্য খুঁজে বের করার প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া অনলাইন লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বাংলা ওসিআর।
এখন হিন্দি, নেপালিসহ আরো ২২টি ভাষার ওসিআর তৈরির কাজও করছে 'টিম ইঞ্জিন'। এসব কাজ শেষের দিকে। কাজ চলছে 'টেক্সট টু স্পিচ', 'স্পিচ টু টেক্সট', 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা' প্রযুক্তি নিয়েও।

ডিজিটাল শিক্ষক
২০০৯ সালে চট্টগ্রামের নজিরিয়া নঈমিয়া মাহমুদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন মহিউল। সে বছরই মাদ্রাসাটিকে যুক্ত করেন 'কানেকটিং ক্লাসরুম'-এর সঙ্গে। কানেকটিং ক্লাসরুম হলো ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্কুলভিত্তিক একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে এক দেশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা আরেক দেশের স্কুলের নিয়মকানুন ও সিলেবাস সম্পর্কে জানতে পারে। শিক্ষাবিষয়ক নানা অভিজ্ঞতাও একে অন্যের সঙ্গে আদান-প্রদান করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, কানেকটিং ক্লাসরুমের অন্তর্ভুক্ত বিদেশি স্কুলগুলোর বিজ্ঞান মেলা, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া যায়। নজিরিয়া নঈমিয়া মাহমুদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসাটি যুক্তরাষ্ট্রের ডারহ্যাম-সান্ডারল্যান্ডের চারটি স্কুলের সঙ্গে 'কোলারভেটিভ পার্টনারশিপ' হিসেবে যুক্ত হয়। কানেকটিং ক্লাসরুম প্রজেক্টে অসামান্য সাফল্য অর্জনের প্রতিদান হিসেবে মাদ্রাসাটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় যুক্তরাজ্য থেকে পেয়েছে ২০১০ সালে 'স্টার পার্টনারশিপ অ্যাওয়ার্ড' ও ২০১১ সালে '১০০ ওয়ার্ডস ড্রামা অ্যাওয়ার্ড'।
শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটাতে 'মাইক্রোসফট ইন এডুকেশন গ্লোবাল ফোরাম'-এর আয়োজন করে থাকে মাইক্রোসফট। ২০১৪ সালের মার্চে মহিউল হক তাঁর মাদ্রাসার দুজন শিক্ষকসহ স্পেনের বার্সেলোনায় সেই ফোরামে অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় 'পোভার্টি' বিষয়ে নিজের প্রকল্প উপস্থাপন করেন। ৯৭ দেশের ১১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে তাঁর প্রকল্প হয়েছে প্রথম রানারআপ।
এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মেধা যাচাই করতে মাইক্রোসফট আয়োজন করে 'এক্সপার্ট এডুকেটর অ্যান্ড মেন্টর স্কুল' প্রতিযোগিতা। এতে বিশ্বের বাঘা বাঘা শিক্ষকের সঙ্গে 'উইন্ডোজ ইন দ্য ক্লাসরুম' সেমিনারসহ বিভিন্ন কোর্সে অংশ নিয়ে এবং ৯টি পরীক্ষায় প্রায় সবাইকে টেক্কা দিয়ে ৮৫ শতাংশের ওপর নম্বর পান তিনি। পাশাপাশি বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে একটি ভিডিও বানান তিনি। এই ভিডিও তৈরিতে কানেকটিং ক্লাসরুম প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। আর ১৫০টি দেশের ২৩ হাজার শিক্ষকের মধ্যে বাংলাদেশে একমাত্র 'এক্সপার্ট এডুকেটর' হিসেবে নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ হাফেজ আল্লামা মোহাম্মদ মহিউল হক।

হাতিরঝিল : ড্রিম বিগিনস
২০০২ সালের পর বাংলাদেশি গেইমের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বছর হচ্ছে ২০১৪ সাল। কারণ এ বছর দুটি দেশি গেইম প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমেই বলতে হবে ম্যাসিভ স্টার স্টুডিওর তৈরি 'হাতিরঝিল : ড্রিম বিগিনস'-এর কথা। বর্তমানে ঢাকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর মধ্যে একটিতে গাড়ি নিয়ে ছুটতে নিশ্চয়ই অনেকেরই ইচ্ছা করে। বাস্তবে ইচ্ছাটা পূরণ করা না গেলেও 'হাতিরঝিল : ড্রিম বিগিনস' গেইমে যাবে। গাড়ির পাশাপাশি সিএনজি অটোরিকশা, বিটিআরসি বাসে ঘুরতে যদি কারো ভালো না লাগে, তাতেও সমস্যা নেই। রয়েছে স্পিডবোট ও বিমান। এগুলোর মাধ্যমে শুধু যে হাতিরঝিলই ঘুরে বেড়ানো যাবে তা নয়, সেই সঙ্গে ইচ্ছা করলে পুরো ঢাকা শহরেও চক্কর দেওয়া যাবে। এ বছরের ২৪ মার্চ 'হাতিরঝিল' গেইমের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোট ৩১ পর্বে বিভক্ত গেইমটির প্রথম পর্ব 'হাতিরঝিল : ড্রিম বিগিনস'-এর ডিভিডির দাম ১৫০ টাকা।
ম্যাসিভ স্টার স্টুডিওর প্রধান নির্বাহী মাহবুবুল আলম জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তাদের এই গেইমস নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু। মাত্র ছয় মাসে তারা নির্মাণ করেছেন 'হাতিরঝিল : ড্রিম বিগিনস'। নির্মাণে গুগল স্কেচআপ প্রো, মায়া, থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স ও ব্লেন্ডার সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। শব্দ সংযোজনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে অডেসিটি ও ওপেন রসার্স সাউন্ড সফটওয়্যার। রেন্ডারিংসহ বেশির ভাগ কাজই করা হয়েছে ব্লেন্ডার সফটওয়্যার দিয়ে আপাতত গেইমটির কম্পিউটার সংস্করণ বের হলেও তৈরি হচ্ছে অ্যানড্রয়েড সংস্করণ। আটজনকে নিয়ে শুরু হলেও ম্যাসিভ স্টার স্টুডিও এখন ২১ জনের একটি পূর্ণাঙ্গ দল। সবাই বয়সে তরুণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস নিয়ে '৭১' শিরোনামে ম্যাসিভ স্টার স্টুডিও থেকে আরো একটি গেইম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রথম যন্ত্র বানানোর প্রতিযোগিতা
জীবন সহজ করে এমন হার্ডওয়্যার পণ্যের ধারণা বের করতে হবে। শুধু বের করলেই হবে না, সে ধারণাকে বাস্তবে রূপও দিতে হবে। কিন্তু সময় মাত্র তিন দিন। যন্ত্র বানানোর এমন প্রতিযোগিতা 'মেইক-আ-থন'। দেশে এ বছরই প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেন শতাধিক প্রতিযোগী।
একই ছাদের নিচে তিন দিনের মধ্যে বেশ কিছু প্রযুক্তি উদ্ভাবনও করে দেখিয়েছেন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। ১৮ থেকে ২০ নভেম্বর এই হার্ডওয়্যার হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল দেশের সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বেসিস ও বেটার স্টোরিজ।
প্রতিযোগিতায় বিচারকদের রায়ে বিজয়ী হয়ে ভারতের আহমেদাবাদে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক মেকারফেস্টে যাওয়ার টিকিট পায় 'রেনোসায়েন্স', 'ইন্টুগ্রেভিটি' ও 'বুয়েট খ্যাপা' দলের সদ্যসরা। তাঁরা তৈরি করেছেন যথাক্রমে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হাতে পড়ার ডিভাইস 'ই-ব্রেইল', টেলি মেডিসিন প্রকল্প 'হেলসিস' এবং সাইকেল চুরি প্রতিরোধক যন্ত্র 'সাইকেল সেইভ।

'ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড'
৪ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসেছিল আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলন ও প্রদর্শনী 'ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪'। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) যৌথভাবে এ আয়োজন করে। চার দিনের এ আয়োজনে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শনীর পাশাপাশি 'সফটএক্সপো', 'ই-গভর্ন্যান্স প্রদর্শনী', 'মোবাইল ইনভেশন এক্সপো'সহ সিইও নাইট, অ্যাওয়ার্ড নাইট, আউটসোর্সিং ফোরাম ও ডেভেলপারস সম্মেলনসহ ২৮টি সেমিনার ও ১৩টি কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এসব আয়োজনে দেশ-বিদেশের শতাধিক তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বক্তব্য দেন।

এসিএম-আইসিপিসির আসর
৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা 'এসিএম-আইসিপিসি ২০১৪'-এর ঢাকা পর্ব। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেশের ৫৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩৫টি দল অংশ নেয়। প্রতিটি দলেই ছিল একজন কোচের নেতৃত্বে তিনজন করে প্রতিযোগী। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল 'ডাউন টু দ্য ওয়ার'। প্রতিযোগিতায় সেরার সম্মানের পাশাপাশি এ দল ২০১৫ সালে মরক্কোয় অনুষ্ঠেয় এসিএম আইসিপিসির ফাইনাল রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাচ্ছে।

ঢাকায় ডিজিটাল বাস
সাধারণ যাত্রীদের বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে ১০ এপ্রিল ঢাকার রাস্তায় নামে থ্রিজি প্রযুক্তির ওয়াইফাই রাউটার সুবিধার ১০টি 'ডিজিটাল বাস'। ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশপাশি ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায় বাসগুলোর অবস্থানও। আন্তর্জাতিক সাহায্যদাতা প্রতিষ্ঠান ইউএনডিপি ও ইউএসএইডের অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেসে টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায় মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত রাস্তায় এসব বাস চালু করা হয়। যদিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাসগুলোর প্রযুক্তিসুবিধা পরে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

রাস্তায় গুগল বাস
গড়নে আর ১০টা বাসের মতো হলেও গায়ে 'গুগল বাস বাংলাদেশ' লেখা বাসটি কোনো যাত্রী বহন করছে না। ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগলের এ বাস বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বাড়াতে ঢাকার পাশাপাশি শহর-বন্দর ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের খুঁটিনাটি শেখাচ্ছে। ১২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাসটি চালু হয়। বাংলাদেশে এটি থাকবে প্রায় এক বছর। গুগল সদর দপ্তরের নকশা করা বিশেষপ্রযুক্তির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ বাসে শিক্ষার্থীরা আটটি মনিটরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। রয়েছে দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই সুবিধার থ্রিজি রাউটার, জিপিএস ট্র্যাকিং, স্মোক ডিটেক্টর, একটি এলইডি টিভি, এইচডিএমআই, ল্যাপটপ ইত্যাদি প্রযুক্তি সুবিধা। নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে এতে রাখা হয়েছে চারটি সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরাও। বাসটিতে আসনগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে, যেন সহজেই থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগসংবলিত মনিটর ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যায়। এই মনিটর ও সাউন্ড সিস্টেমে অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রযুক্তিতে আলোচিত ২০১৪

দেশে অ্যালকাটেল ফ্যাবলেট


 

টেকনো ডেস্ক ॥স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের সুবিধাযুক্ত ফ্যাবলেট দেশের বাজারে এনেছে অ্যালকাটেলের বাংলাদেশী পরিবেশক ইরাসেল লিমিটেড। অ্যালকাটেল পপ সি৯ মডেলের অ্যান্ড্রয়েড জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ফ্যাবলেটে রয়েছে ১.৩ গিগাহার্টজের কোয়াড কোর প্রসেসর, এক জিবি র্যা ম-সুবিধা। ফ্যাবলেটটির পেছনে আট মেগাপিক্সেল ও সামনে দুই মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। এতে আছে অটোফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশলাইট, জিওট্যাগিং ফিচার। এ ছাড়া ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও রেকর্ড করা যাবে এতে। ইরাসেলের কান্ট্রি ম্যানেজার সিজু চেরুভালাত জানান, বর্তমানে গ্রাহকদের মধ্যে ফ্যাবলেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে পপ সি৯ ফ্যাবলেটটি বাজারে আনা হয়েছে। এতে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট দেখা, গেম খেলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দারুণ অভিজ্ঞতা পাবেন ব্যবহারকারী। ৯.৯ মিলিমিটার পুরুত্বের এই ফ্যাবলেটে রয়েছে ২৫০০এমএএইচ ব্যাটারি, যা টানা ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কথা বলার সুবিধা দেবে। রয়েছে ডুযেল সিম, থ্রিজি, ওয়াই-ফাই, ওয়াই-ফাই হটস্পট, জিপিএস, এফএম রেডিও ইত্যাদি সুবিধা। পাঁচটি আকর্ষণীয় রঙের এই ফ্যাবলেটের সঙ্গে গ্রাহক বিনামূল্যে পাবেন ফ্লিপকাভার। ফ্যাবলেটটির দাম ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা।